শ্রী শ্রী মায়ের কথা দৱকাৱী কথা |
শ্রীশ্রী মা সুরেন বাবুকে একদিন বলেছিলেন,
বাড়িতে রুগী থাকলে গেরস্থর পক্ষে,
ঠাকুরের জন্য আলাদা তুলে রেখে,
রুগীকে খাইয়ে দেওয়া যায়,
মনে করতে হয়,
যেন তিনি প্রসাদ পাঠিয়ে দিয়েছেন।
‘জগতের দুঃখের কথা আর কি বলব! আমাকে দেখে শেখ, কেমন কোরে আছি,
ঠাকুর আমাকে যেমন কোরে থাকতে বলেছেন,
ঠিক তেমনি কোরে আছি।
দেখছ না,
কী জীবন কাটাচ্ছি এই মেয়েটাকে নিয়ে?
‘তবু বাবা ভয় কোর না,
সর্বদা মনে রেখাে ঠাকুর সঙ্গে আছেন,
এ সব দুঃখ কষ্ট্রের ভেতর আছ বলে অনাসক্ত থাকতে পেরেছ, নইলে হয়ত জড়িয়ে পড়তে,
এও দুঃখের একটা শুভ দিক্।
‘যে স্বপ্নে ঠাকুর দর্শন দেন সে স্বপ্ন সত্য।
সে স্বপ্নের কথা কাউকে বলতে নেই,
ঠাকুর তাকে বলতেও নিষেধ করতেন।
শ্রী শ্রী মায়ের কথা : স্বামী অরূপানন্দ
আমি(স্বামী অরূপানন্দ) – শরৎ মহারাজ সেদিন বললেন এবং স্বামীজীও বলেছিলেন,
‘মনে কর,
পাশের ঘরে একতাল সােনা রয়েছে।
একটা চোর এ পাশের ঘর থেকে তা জানতে পেরেছে মাঝে দেয়াল,
তাই নিতে পারছে না।
সে লােকটার কি আর ঘুম আসবে?
সব সময় ঐ ভাববেকি করে সােনার তালটা নিতে পারবে ।
তেমনি এহেন ঈশ্বর বলে কেউ আছেন,
এ যদি মানুষ ঠিক ঠিক বুঝতে পারত, তাহলে কি আর এই সব সংসার-ফংসার করতে পারত?’
মা – সে তাে ঠিক কথাই।
আমি(স্বামী অরূপানন্দ)—যাই বল মা,
ত্যাগ-বৈরাগ্যাই প্রধান।
আমাদের কি হবে না?
মা – হবে বই কি |
ঠাকুরের শরণাগত হলে সব হয়
তাঁর ত্যাগই ছিল ঐশ্বর্য।
তিনি ত্যাগ করেছিলেন বলে এখন আমরা সব তাঁর নামে খাচ্ছি-দাচ্ছি ।
লােকে ভাবে, তিনি এত বড় ত্যাগী ছিলেন,
তাঁর ভক্ত এঁরা না জানি কত বড় হবে।
জপের নিয়ম জপ তিন প্রকার—
- বাচিক,
- উপাং ও
- মানস।
বাচিক অপেক্ষা উপাংশু এবং উপাংশু অপেক্ষা মানস জপ শ্রেষ্ঠ।
অপরে শুনিতে পায় এরূপ জপকে বাচিক ;
কেবল নিজে শুনিতে পাওয়া যায় এরূপ জপকে উপাংশু এবং জিহ্বা ও ওষ্ঠ চালনা না করিয়া মনে মনে জপকে মানস জপ বলে।
বাচিক জপও উচ্চৈঃস্বরে করা নিষিদ্ধ।
সংখ্যা না রাখিয়া জপ করিলে জপের ফল হয় না।
শ্রীরামকৃষ্ণ-সঙ্ঘের উদ্দেশ্য কি সেই বিষয়ে স্বামীজীর এক চিঠি
শ্রী শ্রী মায়ের সম্পর্কে মহাপুরুষজীর স্মৃতি চারণা: